ঘরে ঘরে এখন সুগারের সমস্যা। একবার সুগার ধরা পড়লেই খাওয়া দাওয়া থেকে জীবনধারায় আসে বড় পরিবর্তন। আবার সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই বেশি এবং দ্রুত হাঁটার পরামর্শ দেন। তবে সত্যিই কি হাঁটলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব সুগারকে? কী বলছে বিজ্ঞান?
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সত্যিই দ্রুত হাঁটার অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে বেশ উল্লেখযোগ্য। ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন-এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। ৫ লক্ষাধিক ডায়াবেটিস আক্রান্তদের নিয়ে করা হয় এই গবেষণা। সেই প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় টাইপ ২ ডায়াবেটিস কমানোর জন্য বেশ উল্লেখযোগ্য হাঁটার অভ্যাস।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা প্রতি ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিতে হাঁটেন, তাঁদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম থাকে। প্রতি ঘণ্টায় ৫–৬ কিলোমিটার গতিতে হাঁটলে ঝুঁকি ২৪% পর্যন্ত কমে। আর ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে হাঁটলে ঝুঁকি প্রায় ৩৯% পর্যন্ত হ্রাস পায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত হাঁটা শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে। পেশিতে গ্লুকোজ গ্রহণ বাড়ায় এবং স্ট্রেস ও প্রদাহ কমায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রতিদিন ২০–৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটার অভ্যাস শরীরের মেটাবলিজম উন্নত করে এবং শরীরের মোট ফ্যাটের পরিমাণ কমায়।
তবে শুধু হাঁটার সময় নয়, একই সঙ্গে হাঁটার গতিও গুরুত্বপূর্ণ। ধীরে হাঁটার তুলনায় দ্রুত হাঁটা অনেক গুণ বেশি উপকারী। শরীরচর্চা বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, শুধু ধীরে হাঁটলে তেমন উপকার পাওয়া যায় না। ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে দ্রুত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলল তবেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
Free on order over ৳. 500
100% security payment
7 day money guarantee
Support every time fast